Saturday, December 29, 2012

পাত্র-পাত্রীর ঠিকানা ‘সেনসিবল ম্যাচ’

পাত্র-পাত্রীর ঠিকানা ‘সেনসিবল ম্যাচ’

- ফওজিয়া নাজ
পাত্র-পাত্রী দেখার দায়িত্ব আগে আত্মীয়স্বজন বা ঘটকদের মাধ্যমে সম্পন্ন হলেও এখন আর তেমনটি নেই। সময় বদলেছে। ব্যস্ত প্রাত্যহিক জীবনে মনের মতো জীবনসঙ্গী খুঁজে নেয়া যাচ্ছে অনায়াসেই। ঘটকের বদলে পাত্র-পাত্রী খোঁজ দেয়া বা ‘ম্যাচমেকিংয়ের’ দায়িত্ব পেয়েছে হালের বিয়ে বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলো! এ যেন ভার্চুয়াল ঘটক। মনের মতো পাত্র-পাত্রীর সন্ধান পেতে সেনসিবল ম্যাচ ডটকম [www.sensiblematch.com] একটি নির্ভরযোগ্য সাইট। এমনটিই দাবি করেছেন এ সাইটের কর্তাব্যক্তিরা। নান্দনিক ডিজাইন আর নতুন নতুন ফিচার নিয়ে চালু হওয়া এ ওয়েবসাইটটি চালুর অল্পদিনের মধ্যেই ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে’—জানান সাইটটির ডেভেলপার মশিউল হক।
শুরুর কথা
বিয়ের জন্য পাত্র বা পাত্রী খোঁজা সহজ করে দিতেই বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে ম্যাচমেকার ডটকম নামের এ সাইটটি। www.sensiblematch.com ঠিকানার এ সাইটটি তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কম্পিউটার প্রকৌশলী মশিউল হক। সাইটটি তৈরির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তিনি বলেন, বিয়ের বিষয়ে যখন মনস্থির করেছি তখন আমি যুক্তরাষ্ট্রে থাকি। এই সময়ে এ ধরনের একটি সাইটের প্রয়োজন বোধ করি। আমি ব্যক্তিগতভাবে উপলব্ধি করি, এ ধরনের কোনো সাইট আদৌ নেই। আমি নিজের ভবিষ্যত্ ভাবনায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ি। আর এ ঘটনাই আমাকে এ ধরনের সাইট তৈরিতে প্রেরণা যোগায়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যেমন— মাইক্রোসফট, এইচপি, সান মাইক্রোসিস্টেমসের শুরুর গল্পও আমাকে সাইটটি তৈরিতে অনুপ্রাণিত করেছে।’ গত জুন মাসে রাজধানীর গুলশানের স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
সাইটটির কাজ
বিয়ের আগে পাত্রের যোগ্যতা অনুযায়ী যেমন পাত্রীর প্রয়োজন, তেমনি পাত্রী পক্ষেরও জানার প্রয়োজন রয়েছে ছেলে সম্পর্কে। একে অপরের সম্পর্কে জানা-বোঝার মাধ্যমেই কেবল বিয়ের মতো একটি সামাজিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে। যোগ্যতা এবং চাহিদা অনুযায়ী পাত্র-পাত্রী খোঁজা নিতান্তই কম ঝক্কি-ঝামেলার নয়। ক্ষেত্রবিশেষে মাসের পর মাস কেটে গেলেও পছন্দের পাত্র-পাত্রী মেলাতে পারেন না অনেকেই। দেখা যায়, পাত্র পক্ষ যেমন পাত্রী খুঁজছেন তেমনই একজন পাত্রীর অভিভাবকই এরকম একজন পাত্র খুঁজে ফিরেছেন দীর্ঘদিন। কেবল একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের অভাবেই তাদের ‘খুঁজে ফেরা’ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। সেনসিবল ম্যাচ ডটকম ঠিকানার এ সাইটটি ব্যবহারকারীদের মাঝে এ যোগাযোগ স্থাপনের কাজ করছে। সাইটটি থেকে পছন্দের পাত্র-পাত্রীর ছবি, জীবনবৃত্তান্ত, পছন্দ আর প্রত্যাশাসহ পারিবারিক বিস্তারিত তথ্যও জানা যাবে। চাইলে সাইটটির মাধ্যমেই পছন্দের পাত্র-পাত্রীর কাছে মেইল পাঠানোরও সুযোগ রয়েছে। পাত্র-পাত্রী বা তাদের সংশ্লিষ্ট যে কেউ এই ওয়েবাসাইটে নিজেদের পরিচয় গোপন রেখেই তথ্য আদান-প্রদাণ করতে পারবেন।
মন যারে চায়, তারে খুঁজি
ওয়েবসাইটটির ডাটাবেজে বর্তমানে কয়েক হাজার পাত্র-পাত্রীর ছবিসহ ডাটাবেজ রয়েছে। সুবিশাল এ ডাটাবেজ থেকে নিমিষেই মনের মতো পছন্দের পাত্র-পাত্রী খুঁজে নেয়া যায়। কুইক সার্চ বক্সে চাহিদা অনুযায়ী সার্চ করেই সাইটটিতে প্রয়োজনীয় পাত্র-পাত্রী খোঁজার সুযোগ রয়েছে। এজন্য প্রথমে ওয়েবসাইটটিতে ঢুকে এর ডানপাশের ‘কুইক সার্চ’ বিভাগ থেকে পাত্র-পাত্রী খুঁজে নিতে হবে। এজন্য বিভাগের ‘লুকিং ফর’ কলামের বক্স থেকে পাত্র অথবা পাত্রী কোনটির সন্ধান করতে চান তা নির্বাচন করা যাবে। ‘এজ’ কলামে দু’টি বক্স রয়েছে। কত বছর থেকে কত বছর বয়স পর্যন্ত পাত্রী খুঁজছেন তা এ বক্সে নির্দিষ্ট করেও দেয়া যাবে। যেমন কারও ২০ থেকে ২২ বছর বয়সী পাত্র-পাত্রী প্রয়োজন হলে বক্সে ওই বয়সসীমা নির্দিষ্ট করে দেয়ার পর ওয়েবসাইটটিতে থাকা তালিকা থেকে ওই বয়সের মধ্যে থাকা সব পাত্র-পাত্রীর প্রোফাইল চলে আসবে। ‘রিলিজিওন’ কলামে পাত্র-পাত্রীর ‘ধর্ম’ নির্দিষ্ট করে খোঁজা যাবে। আর ‘কান্ট্রি’ কলামে নির্দিষ্ট করে দিতে হবে কোন দেশের পাত্র-পাত্রী প্রয়োজন। এরপর সার্চ বাটনে ক্লিক করলেই ‘রিকুয়ারমেন্ট’ অনুযায়ী পাওয়া যাবে অনেক পাত্র/পাত্রীর তালিকা। প্রাথমিক তালিকা থেকে ছবি দেখার পর আগ্রহী পাত্র-পাত্রীর নামে ক্লিক করলে তার বিস্তারিত প্রোফাইল পাওয়া যাবে। পাত্র-পাত্রীর কাছে কোনো মেসেজ পাঠাতে চাইলে প্রোফাইল ছবি এবং প্রাথমিক তথ্যের ডানপাশে ‘রাইট টু’ অপশন ব্যবহার করতে হবে। ওই প্রোফাইলটি নিজের প্রোফাইলে ‘ফেবারিট’ হিসেবে যুক্ত করতে চাইলে ব্যবহার করা যাবে ‘অ্যাড টু ফেবারিট’ অপশন। সাইটটিতে প্রত্যেক পাত্র-পাত্রীর তথ্যাবলী দু’ভাবে থাকে। কিছু তথ্য থাকে ‘পাবলিক’ এবং কিছু তথ্য থাকে ‘প্রাইভেট’ভাবে। পাবলিক তথ্যগুলো যে কোনো ব্যবহারকারী দেখার সুযোগ পেয়ে থাকেন। তবে প্রাইভেট তথ্য দেখার জন্য তথ্য আপলোড করা ব্যবহারকারীর কাছে বিশেষ ‘অ্যাক্সেস রিকুয়েস্ট’ পাঠাতে হবে। এ অনুরোধ গৃহীত হওয়ার পরই কেবল ‘ব্যক্তিগত’ তথ্যগুলো জানতে পারবেন।
নিজেই হয়ে যান পাত্র-পাত্রী
বয়স ৭২ কিংবা ২৭ যাই হোক না কেন, বিয়ের জন্য বয়স কোনো বাধা নয়। প্রাপ্ত বয়স্ক যে কেউ এ সাইটটির সদস্য হয়ে তার জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে পারেন। সাইটটিতে যে কেউ নিজের বা আত্মীয়স্বজনের ছবি এবং অন্যান্য তথ্য আপলোড করতে পারেন। এজন্য সাইটটিতে ঢুকে নিবন্ধন এবং ছবি আপলোড করে বিভিন্ন তথ্য যুক্ত করতে হবে। এজন্য সাইটটির হোমপেজে থাকা ‘রেজিস্টার ফ্রি’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। নতুন পেজে নাম এবং ই-মেইল ঠিকানা লিখে ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী পেজে নাম-ঠিকানা এবং মোবাইল ফোন নম্বর লিখতে হবে। এরপর নেক্সট বাটন ক্লিক করে পরবর্তী পৃষ্ঠায় দুটি নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এরপর আবার ই-মেইল ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড লিখে নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে হবে এবং তথ্যাবলী আপডেট করতে হবে।
সাইটটি সব শ্রেণীর মানুষের জন্য
এসএসসিতে সপ্তম এবং এইচএসসিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী মেধাবী ছাত্র মশিউল হক শুভ উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সরকারি বৃত্তি নিয়ে তিনি নর্থ টেক্সাস ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক হন। উত্তর আমেরিকায় ১৪ বছরেরও বেশি সময় বিভিন্ন খ্যাতিমান কোম্পানিতে কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শুভ মাতৃভূমিতে ভিন্ন ধারার শিল্পোদ্যোগে ছিলেন বরাবরই আগ্রহী। তারই ফলাফল সেনসিবল ম্যাচ ডটকম।
Source: http://www.amardeshonline.com 

তথ্যের জন্য যোগাযোগ :মেহেদী হাসান, কমিউনিকেশনস ম্যানেজার, সেনসিবল ম্যাচ ডটকম, ফোন : ০১৭১৫১০৪৮৪০।

 

Sunday, January 22, 2012

দাম্পত্য জীবনঃ----বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রী দেখাদেখি পর্ব----

দাম্পত্য জীবনঃ----বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রী দেখাদেখি পর্ব---- 

 

একসময় বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী দেখা হত বাড়ি বাড়ি গিয়ে। পরিবারের গুরুজনরা মিলেই সব কথাবার্তা শেষ করতেন। পাত্র-পাত্রীর প্রথম কথা হত বিয়ের দিন। এখন সময় বদলে গেছে। এখন বিয়ের জন্য পাত্র বা পাত্রী দেখতে কেউ কারো বাড়ি ছুটেননা। দেখাদেখির ধরনে এসেছে ভিন্নতা। হয়ত কোন রেস্টুরেন্টে বা কোন শপিং সেন্টারকেই সবাই বেছে নেন পাত্র-পাত্রী দেখার স্থান হিসেবে। তারাই নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা সেরে নেন। তবে এক্ষেত্রে অনেকেই অনেক কিছু জানতে বা বলতে ভুলে যান। ফলে ফিরে আসার পর চিন্তায় পড়ে যান বা আফসোস করেন অনেক কিছুই জানা হয়নি ভেবে।

এমন পরিস্থিতিতে যারা পরতে যাচ্ছেন আর যারা নিজেদের বিয়ের ফুল ফোটাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য দেয়া হলো কিছু টিপসঃ


১. দেখাদেখি করার আগে মোবাইলে কথা বলে পরিচিতিটা কিছু স্বাভাবিক করে নিতে পারেন। একেবারেই না জেনে দেখা করতে যাওয়াটা ঠিক হবেনা। এতে দুজনের মধ্যেই একটা অস্বস্তির সৃষ্টি হবে।


২. কথাবার্তা বলে দুজনের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তবেই দেখা হওয়ার স্থান নির্বাচন করুন।


৩. দুজনের যাতায়াতের সুবিধা যাতে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।


৪. অনেকেই পাত্র-পাত্রী দেখার সময় দল বেধে যেতে পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে যদি পারা যায় একাই চলে যেতে চেষ্টা করুন। এতে করে দুজনের আলাপ সহজ হবে যা হয়ত মানুষের সামনে করতে দ্বিধায় পড়তেন। আর একেবারেই কাউকে নিয়ে যেতে হলে কথাবার্তার সময় তাদের থেকে দূরে বসে আলাপ সারতে পারেন।


৫. প্রথম দেখাতেই কাউকে পছন্দ নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করে চলে না এসে সৌজন্যতাবোধ দেখান। কিছুক্ষণ বসে সময় কাটানোর পর আসুন।


৬. প্রথম দেখাতেই কেউ কারো ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে জানতে চাইবেন না। সাধারণ জানাশোনার কাজটি করে নিন।


৭. কৌশলে সুন্দর করে একে অপরের ভালো লাগা, মন্দ লাগাগুলো জেনে নিন।


৮. অনেকেই আছেন নিজের সম্পর্কে বাড়িয়ে বলতে যান। মনে রাখবেন যদি বিয়ে হয় তাহলে সেটা দুটি জীবনের সারা জীবনের ব্যপার। তাই সত্যটা জানানোই বুদ্ধিমানের কাজ।


৯. নানা রকম বিষয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন তা বুঝিয়ে বলুন আর অপরেরটাও বুঝে নেয়ার চেষ্টা করুন।


১০. নিজেদের পরিবার-পরিজন, সামর্থ্য ইত্যাদি বিষয় জানানোটা অনেক ভালো। এতে করে নিজের সম্পর্কে পরিষ্কার থাকা যায়।


১১. প্রথম দেখাতে অনেক কিছুই জানা সম্ভব নয় তাই দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিয়ে সময় নিন প্রয়োজনে আবারো দেখা করতে পারেন।


সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন ভালোমত চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয়াটা ভালো। অনেকেই ভেবে থাকেন আড়াল থেকে দেখেই চলে আসবেন। অন্যের অজান্তে এভাবে দেখে না চলে এসে জানিয়ে দেখা করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তাহলে আর দেরি কেন? পাত্র-পাত্রী দেখতে যাচ্ছেন? সব কিছু মাথায় রেখে চিন্তামুক্ত হয়ে চলে যান। শুভ কামনা রইল সবার জন্য।




মুসলিম পরিবারে.....বিয়ের প্রস্তাবঃ শরীয়তে বিবাহ বলতে কী বুঝায়/বিবাহের তাৎপর্য/বিয়ের প্রস্তাব এবং তার নিয়মাবলী

http://www.sonarbangladesh.com/blog/ctg4bd/41440


মুসলিম পরিবারে বিয়েঃ ১ম পর্ব-বিয়ের করণীয় বিষয়সমূহ

http://www.sonarbangladesh.com/blog/ctg4bd/40905

 

-লিখেছেন সিটিজি৪বিডি 

Source:http://www.sonarbangladesh.com

 

Thursday, February 10, 2011

আগে ডাক্তার পরে বিয়ে

আগে ডাক্তার পরে বিয়েবিয়ে শব্দটির সঙ্গে রোমাঞ্চকর সুখানুভূতি জড়িয়ে আছে। কিন্তু বিয়ে শুধু দুটি মানুষের মধ্যে মিলনই নয়; বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁদের পরিবার এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা এই আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিভাগের কনসালট্যান্ট
ডা. মুশাররাত সুলতানা সুমীর সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন_ডা. জিয়াউল হক

চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতি আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে হবু স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের পরিবারের স্বাস্থ্যসম্পর্কিত তথ্য যাচাই করে এমন একটি পরিবার তৈরি করার, যাতে তাঁরা উপভোগ করবেন নির্ভার-নিশ্চিন্ত জীবন, আবার তাঁদের ভবিষ্যৎ বংশধররাও হবে অনেক রোগ থেকে মুক্ত ও স্বাস্থ্যবান।সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষাছেলেমেয়ের বয়স বেশি না কম, শারীরিক উচ্চতা, ওজন, রক্তচাপ, মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিকের কোনো সমস্যা, হেপাটাইটিসসহ সব টিকা দেওয়া আছে কি না, বিড়ি-সিগারেট, মদ-গাঁজা বা অন্য কোনো নেশা করে কি না,মানসিক অবস্থা ঠিক আছে কি না জেনে নিতে হবে।বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি বয়সে বিয়ে হলে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব হতে পারে। বিদেশে পরিচালিত কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি বয়সী বাবাদের সন্তানদের বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। মেয়েদের বেশি বয়সে বিয়ে হলে সন্তান শারীরিক-মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়াসহ জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম নিতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে বলা হয়, তিরিশের পরে প্রথম বাচ্চা নেওয়াটা খুবই ঝুঁকির ব্যাপার। তাই যাঁদের বেশি বয়সে বিয়ে হবে তাঁদের এই ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হবে। যেটা শুধু তাঁর নিজের নয়, সন্তানের জন্যও বিপদের কারণ হতে পারে। আবার মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হলেও বেশ কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। অল্পবয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণ খুব ঝুঁকির ব্যাপার। আমাদের দেশে মাতৃমৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ অল্প বয়সে সন্তান ধারণ। তাই বিয়ের জন্য বয়স বিবেচনা করাটা খুব জরুরি। এ ক্ষেত্রে ছেলেমেয়ের বয়সের
পার্থক্যের দিকটিও লক্ষ রাখতে হবে। বিয়ে শারীরিক ও মানসিক সফলতার জন্য পাত্রপাত্রীর বয়সের পার্থক্য ১০ বছরের মধ্যে থাকাটা ভালো।বংশগত রোগসাধারণত যে ধরনের বংশগত রোগ বেশি দেখা যায় সেগুলো হলো থ্যালাসেমিয়া, মাসকুলার ডিসট্রফি (মাংসপেশিতে একধরনের দুর্বলতা), নার্ভের বিশেষ কয়েকটি অসুখ, এপিলেপ্টিক ডিজঅর্ডার (মৃগী রোগ), মানসিক অসুস্থতা_যেমন সিজোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, বিশেষ কয়েক ধরনের ক্যান্সার, যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোক), ডায়াবেটিস, অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ওবেসিটি, অ্যাজমা, গ্লুকোমা ইত্যাদি।সন্তানদের মধ্যে সংক্রমিত হয় এমন কিছু বংশগত রোগ রয়েছে, যা শারীরিকভাবে প্রকাশিত না-ও হতে পারে। মূলত শারীরিকভাবে প্রকাশিত হয় না এমন রোগের জন্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিয়ে আত্মীয়দের মধ্যে হলে বা একই গোত্রভুক্ত হলে বিয়ের আগেই এ ধরনের পরীক্ষা করা জরুরি। বংশগত রোগের ক্ষেত্রে যেমন মা-বাবা দুজনের জিন থেকে অসুখ দেখা দেয়, আবার অনেক সময় মা-বাবা কোনো একজনের জিন থেকেও অসুখ হতে পারে। ছেলেমেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই বংশগত বা হেরিডিটারি ডিজিজের সমস্যা হতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন হিমোফেলিয়ার (রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা) সমস্যা, কালার ব্লাইন্ডনেসের মতো সমস্যা অনেক সময় মায়ের থেকে ছেলের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত মেয়েসন্তানরা আক্রান্ত হয় না। এমন অনেক ক্ষেত্রে জেনেটিক রোগ মহিলাদের মাধ্যমে পরিবাহিত হয় যেগুলো তারা বহন করে, কিন্তু রোগটি তার ক্ষেত্রে প্রকাশ পায় না। এটা ছেলেসন্তানদের মধ্যে সংক্রমিত হলে ক্ষতিকর হতে পারে। শরীর থেকে রক্ত বা টিস্যু নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগগুলো নির্ণয় করা হয়।বন্ধ্যত্বযৌন অক্ষমতা বা ধ্বজভঙ্গ, অ্যাজোসপারমিয়া এবং সন্তান ধারণে অক্ষমতার মতো সমস্যা থাকলে দম্পতির ভবিষ্যৎ পরিণতি ভালো হয় না। হরমোন ও সিমেন (শুক্র-ধারক বীর্য) অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে এর একটি সমাধান পাওয়া সম্ভব। আশার কথা, ৯৮ শতাংশ তরুণেরই কোনো শারীরিক সমস্যা পাওয়া যায় না। মাত্র ২ শতাংশ তরুণের অ্যাজোসপারমিয়া বা সন্তান ধারণের অক্ষমতা ধরা পড়ে। বিয়ের মাধ্যমে মানুষ তার সন্তান কামনা করে এবং বংশগতি রক্ষা করে। বন্ধ্যত্ব হতে পারে পুরুষ-নারী উভয়ের। তেমনি বন্ধ্যত্ব হতে পারে পারিবারিক জীবনে চরম অশান্তির বড় কারণও। তাই আপাতদৃষ্টিতে এ-সংক্রান্ত পরীক্ষা নিষ্প্রয়োজন মনে হলেও চিকিৎসা দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।যৌন রোগবিয়ে বা শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে এমন কিছু রোগ ছড়ায়, যা সঙ্গীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ইদানীং সিফিলিস, গনোরিয়া, জেনিটাল হারপিস, স্যানক্রয়েডসহ নানা যৌন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করা যায়। তাই বিয়ের আগে সম্ভব হলে ভিডিআরএল, প্যাপস্মেয়ার ইত্যাদি পরীক্ষা করে (রোগ থাকলে) তার চিকিৎসা করে নিলে নিজের পরিবারটিই রোগমুক্ত থাকবে। তাই নিজ উদ্যোগে এ-জাতীয় পরীক্ষা করা দরকার।এ ছাড়া এইডসের মতো রোগের ঝুঁকি তো আছেই। এখন আর চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়ার সময় নেই যে এ-জাতীয় রোগ থেকে একজন মানুষ মুক্ত। তা ছাড়া বিজ্ঞানের এই যুগে সেটা ভাবাও বোকামি। তাই পরীক্ষা করে নিন।রক্তরোগবিয়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো রক্তের রোগ নির্ণয়, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়। রক্তের গ্রুপের ভিন্নতার কারণে পারিবারিক জীবনে কিছু জটিলতা হতে পারে। যাঁদের রক্তে আরএইচ ফ্যাক্টর নেই তাঁদের রক্তের গ্রুপ 'নেগেটিভ' বলা হয়, যেমন এ নেগেটিভ, বি নেগেটিভ ইত্যাদি। নেগেটিভ গ্রুপধারী কোনো নারীর সঙ্গে পজিটিভ গ্রুপধারী পুরুষের বিয়ে হলে তাঁদের সন্তান জন্মদানের সময় জটিলতা হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। শিশুর মৃত্যু হতে পারে। এর পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া, রক্তের কোনো অসুখ আছে কি না পরীক্ষা করে জেনে নিতে হবে।পরীক্ষায় খারাপ কিছু পাওয়া গেলেএ ক্ষেত্রে নেগেটিভ চিন্তা বাদ দিয়ে আমাদের ভালো দিকটিকেই বেছে নিতে হবে। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা করে ভালো হওয়া সম্ভব।তবে এইডস বা এমন কোনো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হলে তা গোপন না রেখে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকুন। যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে বা যাকে জীবনসঙ্গী ঠিক করছেন তাঁকে বিষয়টি জানান। গোপন করবেন না।
Source: Daily kalerkantho

বেলুনে চড়ে বিয়ে

বেলুনে চড়ে বিয়ে

পিটিআই
বিশ্বজুড়ে ঘটন-অঘটনসহ কত কাহিনীই না শোনা যায়। মানুষের স্বপ্নের তো শেষ নেই। জীবনে নতুন কিছু-একটা করে দেখানো চাই। আর তাই নিজের জন্মদিন বা বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে চান অবাক করা কিছু-একটা করে। আমরা জানি কেউ বা বিয়ে করেছেন পাহাড়চূড়ায়, কেউ বা সাগরতলায়; পাহাড়ি ঝরনায় ভেলায় চেপেও বিয়ে করেছেন কেউ। আর এবার ভারতের এক দম্পতি তাদের বিয়েটা সেরে নিয়েছেন আকাশে বেলুনে ভেসে। আকাশে ভাসতে ভাসতেই প্রিয়তমা অমৃতাকে আংটি পরালেন কাঁকুরগাছির বাসিন্দা সন্তোষ জয়সোয়াল। ভিন্ন আঙ্গিকে বিয়ে করার এ শখ মেটাতে অবশ্য অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে ৩১ বছর বয়সী সন্তোষকে। তিন মাস ধরে তাকে টানা যোগাযোগ রাখতে হয়েছে দিল্লির এক বেলুনিং ক্লাবের সঙ্গে। এজন্য বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয় ও ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতিও জোগাড় করতে হয়েছে তাকে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী সন্তোষ হঠাত্ বেলুনে চেপে বিয়ে করার ইচ্ছার ব্যাপারে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘জীবনে তো বিয়ে একবারই করব। আর তাই নতুন কিছু করার চিন্তা-ভাবনা থেকেই এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।

Friday, October 8, 2010

অনন্য ভার্চুয়াল ঘটক সেনসিবল ম্যাচ

অনন্য ভার্চুয়াল ঘটক সেনসিবল ম্যাচ

সময় পরিক্রমায় ঘটকালির ধরনে পরিবর্তন এসেছে। পাত্র-পাত্রী দেখার দায়িত্ব আগে আত্মীয়স্বজন বা ঘটকদের মাধ্যমে সম্পন্ন হলেও এখন আর তেমনটি নেই। সময় বদলেছে। ব্যস্ত প্রাত্যহিক জীবনে মনের মতো জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়ার সময় পাচ্ছেন না ... সমস্যা নেই! ঘটকের বদলে পাত্র-পাত্রী খুঁজে দেওয়া বা 'ম্যাচমেকিংয়ের' দায়িত্ব নিয়ে নিচ্ছে হালের বিয়েবিষয়ক ওয়েবসাইট...
লিখেছেন হাসান জাকির


'বিবাহের পৌনঃপুনিক প্রস্তাবে তাহাদের [পাত্র-পাত্রী] পিতৃপক্ষের পাকা চুল কলপের আশীর্বাদে পুনঃপুনঃ কাঁচা হইয়া উঠে, আর প্রথম ঘটকালির আঁচেই ইহাদের কাঁচা চুল ভাবনায় একরাত্রে পাকিবার উপক্রম হয়।' ঘটকালি কাজটা যে এতটাই সহজ নয় তা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প 'হৈমন্তী'র এ দুটি লাইনে অনেকটাই স্পষ্ট। তবে সময় পরিক্রমায় ঘটকালির ধরনে পরিবর্তন এসেছে। পাত্র-পাত্রী দেখার দায়িত্ব আগে আত্মীয়স্বজন বা ঘটকদের মাধ্যমে সম্পন্ন হলেও এখন আর তেমনটি নেই। সময় বদলেছে। ব্যস্ত প্রাত্যহিক জীবনে মনের মতো জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়ার সময় পাচ্ছেন না ... সমস্যা নেই! ঘটকের বদলে পাত্র-পাত্রী খুঁজে দেওয়া বা 'ম্যাচমেকিংয়ের' দায়িত্ব নিয়ে নিচ্ছে হালের বিয়েবিষয়ক ওয়েবসাইটগুলো! এ যেন ভার্চুয়াল ঘটক। মনের মতো পাত্র-পাত্রীর সন্ধান পেতে সেনসিবলম্যাচ ডটকম [িি.িংবহংরনষবসধঃপয.পড়স] এমনই ব্যতিক্রমী ও নির্ভরযোগ্য সাইট। 'আমাদের দেশে বেশ কয়েক বছর ধরেই পাত্র-পাত্রী খোঁজার বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট থাকলেও মানের এবং চাহিদার দিক দিয়ে সেগুলো ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন মেটাতে পারছিল না। ব্যবহারকারীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে বিবেচনা করেই যাত্রা শুরু হয়েছে নতুন ভার্চুয়াল ম্যাচমেকার সাইট সেনসিবলম্যাচ ডটকমের। নান্দনিক ডিজাইন আর নতুন নতুন ফিচার নিয়ে চালু হওয়া এ ওয়েবসাইটটি চালুর অল্পদিনের মধ্যেই ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে_ জানান সাইটটির ডেভেলপার মশিউল হক শোভন।
শুরুর কথা
বিয়ের জন্য পাত্র বা পাত্রী খোঁজা সহজ করে দিতেই বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে সেনসিবল ম্যাচ ডটকম নামে এ সাইটটি। িি.িংবহংরনষবসধঃপয.পড়স ঠিকানার এ সাইটটি তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কম্পিউটার প্রকৌশলী মশিউল হক। সাইটটি তৈরির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তিনি বলেন, বিয়ের বিষয়ে যখন মনস্থির করেছি তখন আমি যুক্তরাষ্ট্রে থাকি। এ সময় এ ধরনের একটি সাইটের প্রয়োজন বোধ করি। আমি ব্যক্তিগতভাবে উপলব্ধি করি, এ ধরনের কোনো সাইট আদৌ নেই। গত ৩ জুন রাজধানীর গুলশানের স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
সাইটটির কাজ
বিয়ের আগে পাত্রের যোগ্যতা অনুযায়ী যেমন পাত্রী প্রয়োজন, তেমনি পাত্রীপক্ষেরও জানার প্রয়োজন রয়েছে ছেলে সম্পর্কে। একে অন্যের সম্পর্কে জানা-বোঝার মাধ্যমেই কেবল বিয়ের মতো একটি সামাজিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে। যোগ্যতা এবং চাহিদা অনুযায়ী পাত্র-পাত্রী খোঁজা নিতান্তই কম ঝক্কি-ঝামেলার নয়। ক্ষেত্রবিশেষে মাসের পর মাস কেটে গেলেও পছন্দের পাত্র-পাত্রী মেলাতে পারেন না অনেকে। দেখা যায়, পাত্রপক্ষ যেমন পাত্রী খুঁজছে, তেমনি একজন পাত্রীর অভিভাবকও এরকম একজন পাত্র খুঁজে ফিরছেন দীর্ঘদিন ধরে। কেবল একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের অভাবেই তাদের 'খুঁজে ফেরা' সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। সেনসিবল ম্যাচ ডটকম এ সাইট ব্যবহারকারীদের মাঝে যোগাযোগ স্থাপনের কাজ করছে। সাইটটি থেকে পছন্দের পাত্র-পাত্রীর ছবি, জীবনবৃত্তান্ত, পছন্দ আর প্রত্যাশাসহ পারিবারিক বিস্তারিত তথ্যও জানা যাবে। চাইলে সাইটটির মাধ্যমেই পছন্দের পাত্র-পাত্রীর কাছে মেইল পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। পাত্র-পাত্রী বা তাদের সংশ্লিষ্ট যে কেউ এই ওয়েবসাইটে নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন।
ঘটকালি বলে কথা!
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাত্র-পাত্রী খোঁজা এখনও সমাজের সব পর্যায়ের মানুষের জন্য নিশ্চিত হয়নি। সংশ্লিষ্টরা জানান, যারা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে প্রোফাইল আপলোড করে থাকেন তাদের প্রোফাইলই কেবল অন্য ব্যবহারকারীরা দেখার সুযোগ পান। আর যারা প্রোফাইলে ছবি আপলোড করেন তারা বেশিরভাগই সমাজের উচ্চবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের। ফলে সমাজের বেশিরভাগ মানুষের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না ম্যাচমেকার সাইটগুলোর মাধ্যমে। তবে এ ব্যাপারে সেনসিবলম্যাচ ডটকমের ডেভেলপার মশিউল হক বলেন, 'সব ধরনের পাত্র-পাত্রীর প্রোফাইল আপলোডে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে অনেক সাড়াও পাচ্ছি। আশা করছি সেনসিবলম্যাচ সব ধরনের মানুষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।'
যদি না থাকে ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা...
কারও যদি ব্যক্তিগতভাবে ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা না থাকে? এ প্রসঙ্গে মশিউল হক বলেন, 'তারপরও সমস্যা নেই। সেনসিবলম্যাচ ডটকমের গুলশানে রয়েছে একটি অফিস, সেখানে এ সংক্রান্ত সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হয়।'
অফিসের কর্মীরাই অভ্যাগত বা তার পছন্দের যে কারও জন্য প্রোফাইল তৈরি করে ডাটাবেজে যুক্ত করে দেবেন। এরপর সেনসিবল কর্মীরা আপনার প্রোফাইলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পাত্র-পাত্রী খুঁজে দেবেন। এ ব্যাপারে যে কোনো সময় আপগ্রেডও জেনে নিতে পারবেন কোনো গ্রাহক। তিনি আরও বলেন, 'পুরো ব্যাপারটিতে দেশজ ঐতিহ্যকে আমরা বড় করে দেখেছি। এ কারণে গুলশানের অফিসে পুরোদস্তুর ঘটকও রেখেছি আমরা। টেকনোলজির পাশাপাশি মানবিক স্পর্শের এ এক অপূর্ব সম্মিলন।' অনেকেই তার বিবাহযোগ্য কন্যার ছবি ইন্টারনেটে দিতে রাজি নন_ এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'শুধু ছবি কেন, যে কোনো পাত্র-পাত্রী তার যে কোনো তথ্য ইচ্ছা করলেই এখানে গোপন রাখতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া ছবিসহ কোনো তথ্যই অন্য কেউ এখান থেকে দেখতে বা জানতে পারবেন না। ... এটা কোনো ডেটিং সাইট নয়, যারা বিয়ে করতে চান তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।'
নিজেই হয়ে যান পাত্র-পাত্রী
বয়স ৭২ কিংবা ২৭, যা-ই হোক না কেন, বিয়ের জন্য বয়স কোনো বাধা নয়। প্রাপ্তবয়স্ক যে কেউ এ সাইটের সদস্য হয়ে তার জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে পারেন। সাইটটিতে যে কেউ নিজের বা আত্মীয়স্বজনের ছবি এবং অন্যান্য তথ্য আপলোড করতে পারেন। সাইটটিতে ঢুকে নিবন্ধন এবং ছবি আপলোড করে বিভিন্ন তথ্য যুক্ত করতে হবে। এজন্য সাইটটির হোমপেজে থাকা 'রেজিস্ট্রার ফ্রি' বাটনে ক্লিক করতে হবে। নতুন পেজে নাম এবং ই-মেইল ঠিকানা লিখে 'নেক্সট' বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী পেজে নাম-ঠিকানা এবং মোবাইল ফোন নম্বর লিখতে হবে। এরপর নেক্সট বাটন ক্লিক করে পরবর্তী পৃষ্ঠায় দুটি নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এরপর আবার ই-মেইল ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড লিখে নিবন্ধন সম্পূর্ণ এবং তথ্যাবলি আপডেট করতে হবে।